জুলাই ২৪, ২০২১
তালার মাগুরা গ্রামে বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুট পাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার তালার মাগুরা গ্রামে প্রতিপক্ষ কর্তৃক এক ব্যক্তির বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুট পাটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা তালার মাগুরা গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল গফফারের ছেলে শেখ আমানুর রহমান এই অভিযোগ করেন। শেখ সেকেন্দার আলী উক্ত সম্পত্তি বাংলা ১৪১৬ সনের ১ বৈশাখ মাহফুজা বেগম গংকে বাচনিক দান করেন এবং দখলদারিত্ব বুঝিয়ে দেন। তবে ভবিষ্যতে জটিলতা এড়ানোর জন্য মাহফুজা বেগম বাদী হয়ে শেখ সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি ১৪৮/১৩ মকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত মকদ্দমায় গত ২০১৪ সালের ৫ মার্চ রায় ও ১২ মার্চ ডিক্রি মূলে মাহফুজা বেগম প্রাপ্ত হন। সেখান থেকে উক্ত সমুদয় সম্পত্তি মাহফুজা বেগম গং অদ্যাবধি ভোগ দখলে থেকে ফসল উৎপাদন করছেন এবং বসবাসরত আছেন। কিন্ত গত ১৪ জুলাই রাত ২টার দিকে মাগুরডাঙ্গা গ্রামের শেখ মহাসিন আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মৃত বাবর আলী মোড়লের ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মৃত শহর আলীর ছেলে সাইয়েদুর রহমান, চাঁদকাটি গ্রামের মৃত মফিজুল মোড়লের ছেলে রুবেল মোড়ল ও আল আমিন মোড়ল, মাগুরা গ্রামের মৃত আলী বক্স শেখের ছেলে শেখ শহিদুল ইসলাম, মৃত জালালউদ্দীন ফকিরের ছেলে এফ এম রাশেদুজ্জামান (রিপন) এবং মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের মৃত নবাব আলী খাঁ’র ছেলে আজিবার রহমান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন রিভলবার সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও মালপত্র লুটপাট করে। শেখ আমানুর রহমান বলেন, হামলা কারিরা বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও দেড় লাখ টাকা মূল্যের গহনা লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমাকে এবং ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এসময় আমাদের ডাক চিৎকারে আমার মা, স্ত্রী ও বৌমা ছুটে আসলে রুবেল ও আল আমিন তাদেরকেও মারধর করতে থাকে এবং বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ছেলেকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে এবং আমাকে একটি পতিত ঘরে হাত পা বেঁধে আটকে রাখে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাথে সাথে এ ঘটনা তালা থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এসময় হামলাকারীরা বাড়ি ঘর দখল করে এবং টিনের বেড়া দিয়ে বাকি জায়গাগুলো ঘিরে দখলে নেয়। এঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করলে পরিবারের সকলকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যায় তারা। এসময় তারা আমার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নেয়। ফলে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠা ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় তারা মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটাতে পারে। তিনি এঘটনায় আইনী সহায়তা পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশু সুদৃষ্টি কামনা করেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)। 8,599,691 total views, 7,570 views today |
|
|
|